ঢাকা , সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ , ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

কাশ্মীরের হামলাকে ‘ভারতীয় নাটক’ বলল টিআরএফ

আপলোড সময় : ২৭-০৪-২০২৫ ১০:১৮:৪০ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৭-০৪-২০২৫ ১০:১৮:৪০ পূর্বাহ্ন
কাশ্মীরের হামলাকে ‘ভারতীয় নাটক’ বলল টিআরএফ
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। সংগঠনটি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মিথ্যা এবং প্রমাণ ছাড়া তড়িঘড়ি করে দায় চাপানোর ভারতীয় কৌশল হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ ছাড়া পেহেলগামের হামলাটিকে কাশ্মিরের স্বাধীনতা আন্দোলনকে হেয় করার জন্য ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের সাজানো অভিযানের অংশ’ বলে আখ্যায়িত করেছে গোষ্ঠীটি। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে গোষ্ঠীটি দাবি করে, ঘটনার পরপরই তাদের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে অননুমোদিত বার্তা পোস্ট করা হয়েছিল। এই পোস্ট ছিল ‘সমন্বিত সাইবার আক্রমণের ফল, যা ভারতের ডিজিটাল যুদ্ধাস্ত্রের একটি পরিচিত কৌশল।’

অন্যদিকে এই পোস্টের ভিত্তিতেই বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর চালানো ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামে পরিচিত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। 

২০১৯ সালে আত্মপ্রকাশ করা এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার একটি শাখা বা সহযোগী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, টিআরএফ সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন ফোরামগুলোতে ‘কাশ্মির রেজিস্ট্যান্স’ নাম ব্যবহার করে এবং সেখানেই তারা ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় গতকালের হামলার দায় স্বীকার করেছে।

কিন্তু টিআরএফ দাবি করেছে, ‘একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার পর আমরা প্রমাণ পেয়েছি, এটি সমন্বিত সাইবার আক্রমণের ফল।’ তারা জোর দিয়ে বলেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই পোস্টের পেছনে ‘ভারতীয় সাইবার-গোয়েন্দা কর্মীদের আঙুলের ছাপ’ পাওয়া গেছে। টিআরএফ আরও অভিযোগ করেছে, এ ধরনের কৌশল নতুন নয় এবং ভারত অতীতেও ‘নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি’ করেছে।

টিআরএফ জানিয়েছে, তারা এ ঘটনার পেছনের কারণ ও উৎস খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

এদিকে এই হামলার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করা। এ ছাড়া আটারি-ওয়াঘা সমন্বিত চেকপোস্ট বন্ধ করা, সার্ক ভিসা স্কিমে নিষেধাজ্ঞা, পাকিস্তানি হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা বা সামরিক কর্মকর্তাদের (নৌ ও বিমান) ‘পার্সোনা নন-গ্রাটা’ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা উল্লেখযোগ্য।

পাল্টা হিসেবে পাকিস্তানও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন তারা ভারতীয় বিমান সংস্থার জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমার ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া শিমলা চুক্তিসহ সব দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিত করারও হুমকি দেয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ